বর্তমানে অর্গানিক ফুড বিশ্বব্যাপী এক চর্চার বিষয়, বিভিন্ন গবেষণা ও আলোচনার মাধ্যমে দেখা গেছে যে এই অর্গানিক ফুডে প্রচুর পরিমানে এন্টি অক্সিডেন্ট রয়েছে যা আমাদের শরীরের পক্ষে খুবই উপযোগী। মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রের ‘হাউজ অব লর্ডস’ এর বিজ্ঞান বিষয়ক এক কমিটির রিপোর্টে বলা হয় যে পশু ও মাছের খাবারের মধ্যে যেসব এন্টি বায়োটিক ব্যবহার করা হচ্ছে তার প্রভাবে মানব দেহে নানা মাইক্রোবায়োলজিক্যাল রোগ বাসা বাঁধছে। সেজন্য অর্গানিক ফুড ব্যবহার করার অভ্যাস তৈরি করতে হবে আমাদের, যা পুষ্টিগুণেও সমৃদ্ধ এবং পরিবেশের স্থিতিশীল উন্নয়নের সহায়ক হবে।পরিবেশবান্ধব : অর্গানিক ফুড প্রাকৃতিক পদ্ধতি অবলম্বন করে উৎপাদিত হয় তাই এটি পরিবেশের কোনরকম ক্ষতি করে না বরং পরিবেশের সাথে মানুষেরও অনেক উপকার করে থাকে। অর্গানিক ফার্মিং এর দরুন মৃত্তিকার উর্বরতা বজায় থাকে, মাটির ভৌম জল স্তর বৃদ্ধি পায় এবং পুষ্টিকর খাদ্য প্রদান করে।পুষ্টিগুণে সমৃদ্ধ : বাজারের বিক্রি হওয়া বেশির ভাগ খাদ্যে প্রচুর পরিমাণে ভেজাল থাকে, যা গ্রহণ করে মানুষ ধীরে ধীরে নিজের দেহের ক্ষতি করে চলেছে। গবেষণায় দেখা গেছে সেই জায়গায় অর্গানিক ফুড ব্যবহার করলে কনভেন্সিয়ালি ভাবে উৎপাদিত খাবারের তুলনায় বেশি পরিমাণে ভিটামিন ও মিনারেল পাওয়া যেতে পারে।স্বাদে ভালো : অর্গানিক ফুডের মধ্যে প্রকৃতির স্বাদ লুকিয়ে থাকে যা অন্য কোন প্রকার খাবারের মধ্যে পাওয়া যায় না। ভালো স্বাদের পাশাপাশি এটি পুষ্টি শালী ও স্বাস্থ্যকর হয়ে থাকে, যার ফলে মানুষ এই ধরনের খাবার কে এখন বেছে নিচ্ছে।রোগ প্রতিরোধ : বিভিন্ন প্রাণীজ খাদ্যসমূহ, যেমন মাছ ও মাংসের উৎপাদনে উচ্চ মাত্রায় এন্টিবায়োটিক ব্যবহার করা হচ্ছে, যার ফলে মানব দেহে তার পার্শ্বপ্রতিক্রিয়া তৈরি দেখা দিয়েছে। তার জায়গায় অর্গানিক ফার্মিং করা হলে আমাদের হৃদযন্ত্র, কিডনির ও স্নায়ু জাত ক্ষতিকর রোগের প্রভাব কমবে।
সমাজের উন্নতি : অর্গানিক ফুড শুধুমাত্র মানব শরীরের জন্যই নয়, বরং এটি আমাদের চারপাশের পরিবেশের জন্যও যথেষ্ট উপকারী। যেহেতু এতে বীজ থেকে শুরু করে, সেচের জল, প্রাকৃতিক খাদ সবই প্রাকৃতিক জিনিস ব্যবহার করা হয় বলে কৃষকদের উৎপাদন ব্যয় কম হয়।